Tuesday, November 25, 2014


হাজাছড়া ঝর্ণা (থাংঝাং ঝর্ণা), বাঘাইহাট, দিঘীনালা, খাগড়াছড়ি...

এই ঝর্ণাটির স্থানীয় পাহাড়ীদের দেয়া নাম হল চিত জুরানি থাংঝাং ঝর্ণা (মন প্রশান্তি ঝর্ণা) । এটা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট এলাকায় অবস্থিত। দিঘীনালা থেকে #সাজেক যাওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে ১/২ ঘন্টা সময় নিয়েই ঘুরে আসতে পারবেন এই অপরূপ ঝর্নাটি। মূল সড়ক থেকে মাত্র ১০মিনিট হাঁটলেই পৌছে যাবেন ঝর্ণায়।





বাংলাদেশের ভূ-স্বর্গ - "তিন্দু" ( তিন্দু ভ্রমণের বিস্তারিত পোষ্ট ) ঃ

পৃথিবী'তে তিন্দু-র মত এমন ঘুম-ঘুম সুন্দর জায়গা আর একটিও নেই... তিন্দু ইউনিয়ন, বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। প্রাকৃতিক আকর্ষণের কারণে এ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী পর্যটকদের কাছে অঞ্চলটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান।

কিভাবে যাবেনঃ
• ঢাকা – বান্দারবান যাওয়ার শ্যামলি, হানিফ, ইউনিক, এস আলম, ডলফিন এর বাস আছে ।রাত ১০ টায়/১১:৩০ টায় কলাবাগান/সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে যায়।

• ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়েও যাওয়া যায়। বদ্দারহাট থেকে বান্দারবানের বাস ছাড়ে পুরবী/পুর্বানী।

• সকাল ৭:৩০ এর মধ্যেই বান্দারবান পৌছে যাবেন। এখান থেকে চান্দের গাড়ী নিয়ে সোজা থানচি। আপনি চান্দের গাড়ী রিজার্ভ করে নিতে পারেন। খরচ পরবে ৩০০০-৪০০০ টাকার মত। এছাড়া লোকাল চান্দের গাড়ী আছে, এটায় ভাড়া পড়বে ১৫০-২০০ টাকা করে। বান্দরবান শহর থেকে থানচি উপজেলা সদরের দূরত্ব ৮২ কিঃমিঃ।

• মাঝে বলিপাড়ায় কিছুক্ষন যাত্রা বিরতি চাইলে নিতে পারেন। সকালে রওনা দিলে দুপুরের মধ্যে থানচি পৌছে যাবেন। থানচি তে ব্রীজ বানানো হয়ে গিয়েছে, তাই ঐপাড়ে এখন গাড়ী যায়। সাংগু হেটে পার হয়ে থানচি বাজারে পৌছাবেন।

• সবার আগের কাজ বিজিবি- কে আপনার নাম ধাম দিয়ে তাদের পারমিশন নেয়া। বাজারেই খাওয়া দাওয়া করে নিতে পারেন। খরচ খুব বেশী পরবে না।

 
 • এখন নৌকা আর মাঝি ঠিক করতে হবে। এখানে আলাদা কোন গাইড নাই। মাঝিরাই গাইডের কাজ করবে। খরচ ডিপেন্ড করবে আপনি কয়দিনের জন্য নৌকা রিজার্ভ করবেন। প্রতিদিনের জন্য প্রায় ১০০০-১২০০টাকা পড়বে।

বান্দারবান-থানচি থেকে তিন্দু (এখানে রাতে থাকতে পারেন সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বারের বাসায়, আর যদি আপনার তাবু থাকে তাইলে ত কথাই নাই। খাওয়া দাওয়ার চিন্তা নাই। তারাই রেঁধে দিবে। মুরগীর ঝোল তারা অসাধারন রাঁধে। থাকা খাওয়ার খরচ প্রতিদিন ২০০টাকা করে পরবে, পার হেড )।


 
 মোবাইল নেটওয়ার্কঃ
থানচি, তিন্দু দুই জায়গাতেই মোবাইল নেটওয়ার্ক (জিপি, রবি, টেলিটক, সিটিসেল) আছে। নিজের মোবাইল সাথে না নেয়াই ভালো। বাড়তি বোঝা বলে মনে হবে। দোকান থেকেই প্রয়োজনীয় কথা সেরে নিতে পারবেন। নিলেও নোকিয়া জাভা সেট নিয়ে যাবেন, চার্জ অনেক দিন থাকে।

ছবির জন্যে Living With Forest -কে আন্তরিক ধন্যবাদ...



অপরূপ লোভাছড়া, কানাইঘাট, সিলেট...
যেভাবে যাওয়া যাবে লোভাছড়ায়ঃ
সিলেট শহর থেকে তিনটি সড়কে কানাইঘাট সদরে পৌঁছার সুযোগ আছে। বাস অথবা সিএনজি-অটোরিঙাযোগে সরাসরি দরবস্ত-চতুল হয়ে কানাইঘাট সদরে যাওয়া যায়। অন্যদিকে, গোলাপগঞ্জ-চারখাই-শাহবাগ হয়ে জকিগঞ্জ সড়ক দিয়ে কানাইঘাট পৌঁছা যাবে। এছাড়া গাজী বুরহান উদ্দিন সড়ক দিয়ে সিলেট-গাছবাড়ী সড়ক দিয়ে কানাইঘাট সদরে পৌছার সুযোগ রয়েছে।

সিলেট শহর থেকে কানাইঘাট সদরে বাসভাড়া সর্বোচ্চ ৬০টাকা এবং সিএনজি-অটোরিকশা ভাড়া সর্বোচ্চ ১শ’ টাকা। রিজার্ভ সিএনজি ৫শ’ ৭শ’ টাকা হবে। তিন পথেই সিএনজিযোগে যাওয়া যাবে কানাইঘাটে। চলতি বছর কানাইঘাটে সুরমা নদীর উপর ব্রীজ চালু হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ হয়েছে।

কানাইঘাটে পৌঁছার পর বাজার হতে নৌকাযোগে যেতে হবে লোভাছড়ায়। জনপ্রতি ৩০ থেকে ৪০টাকা নৌকা ভাড়া লাগবে। এছাড়া রিজার্ভ নৌকা নিলে ৩শ’ টাকার বেশি হবে না। আর লোভাছড়া ঘুরতে সময় লাগবে প্রায় ৩ থেকে ৪ঘন্টা। সবুজে আচ্ছাদিত, অপরূপ বন, স্বচ্ছ পানির ঝর্ণা আর নদী, পাথর সমৃদ্ধ লোভাছড়া; যা আপনাকে বিমোহিত করবে


জোড়া ঝর্ণা (নতুন ডাবল ফলস)... আলীকদম, বান্দরবান...

বান্দরবানের আলীকদম জোনের গহীনে এখনও রয়ে গেছে এমন অনেক ঝর্ণা, যেগুলো সম্পর্কে আমরা একেবারেই অজ্ঞ। প্রতি বছর এক বা একাধিক পর্যটক দল যেয়ে অকল্পনীয় পরিশ্রম করে খুঁজে বের করে আনে এগুলোর খোঁজ। তাদের তুলে আনা অসম্ভব সুন্দর ছবিগুলো দেখে আমরা মুগ্ধ হই আর ভাবি যে, এই ঝর্ণাগুলো বাস্তবে না জানি কত সুন্দর...

Sunday, November 2, 2014

নইন্যার মার কুম ঝর্ণা... এটা সীতাকুণ্ডের পাহাড়ের গভীরে অবস্থিত। স্থানীয় পাহাড়ী চাষীদের মুখ থেকে জানা গেছে এই অদ্ভুত নামটি। অবশ্য এর পাশে আরো কয়েকটা ঝর্ণা আছে, যেগুলোকে ছোট বড় জর্জরি ঝর্ণা বলে।

যেভাবে যাবেনঃ
সীতাকুন্ড পন্হিচিলা (পান্তশালা) নেমে পূর্ব পাশ ধরে ঘন্টাখানেক হাঁটলে আপনি পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছে যাবেন । এরপর স্হানীয় কারো সাহায্য নিতে পারেন । তবে এই ঝর্ণায় মানুষের আনাগোনা নেই বললেই চলে। তাই যাবার বেশ কিছু পথ আপনাকে ছড়ার উপর দিয়ে চলতে হবে আর সেই সাথে পাহাড়ি কিছু জঙ্গলও কেঁটে যেতে হবে । তাই এই যাত্রায় আপনার বা আপনাদের সাথে অবশ্যই দা বা ছুরি জাতীয় কিছু নিবেন, এতে পথ চলতে সুবিধা হবে। আর তা নাহলে বেশ কষ্ট করতে হবে চলার পথ করে নিতে। তবে অযথা গাছ-পালা কাটবেন না অর্থ্যাৎ চলার পথে বাঁধা নাহলে কোন গাছ কাটবেন না দয়া করে।



ভরা বর্ষায় বিছনাকান্দি...

সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী পানি-পাথরের এক অপরূপ ভ্রমণ গন্তব্য বিছনাকান্দি। আকাশছোঁয়া পাহাড়ের কোলে এ যেন প্রকৃতির এক অনন্য রূপ। পাশেই বয়ে চলা স্বচ্ছ শীতলপানির পাহাড়ি ন

দী পিয়াইন। ছোট বড় পাথরের মাঝে পিয়াইন নদীর মায়াবী স্রোত।

সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলার গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুর ইউনিয়নে বিছানাকান্দি। এর পরেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। বর্ষা মৌসুমে পাহাড়গুলো একটু বেশিই সবুজ, পাহাড়ের গায়ে ঝরণাগুলোও প্রাণবন্ত। তবে এসব ঝরণার কাছে গিয়ে পানি ছোঁয়ার কোনও সুযোগ নেই। শুধুই দুই চোখ ভরে উপভোগ করা যায়। কারণ মূল ঝর্ণার সবগুলোই ভারতে অবস্থিত।


বর্ষার সময়ে বিছনাকান্দিতে প্রকৃতি যেন তার সৌন্দর্যের সবটুকুই ঢেলে দেয় নিরলসভাবে। চারিদিকে শুধুই সবুজ আর সবুজ। উপরে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। বিছনাকান্দির বিছানায় পৌঁছুতে পৌঁছুতেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাবেন ভ্রমণপ্রেমী যে কোন মানুষ...

Saturday, November 1, 2014


Hardinge Bridge is a steel railway bridge over the Padma located in western Bangladesh. It is named after Lord Hardinge, who was the Viceroy of India from 1910 to 1916. The bridge is 1.8 kilometers (1.1 mi) long.
Construction began in 1910, though it was proposed at least 20 years earlier. It took almost 2 years for it to be completed, and trains started moving on it in 1915.
The construction of a railway Bridge over the Padma was proposed by Eastern Bengal Railway in 1889 for easier communication between Calcutta and the then Eastern Bengal & Assam and discussed for more than twenty years before it was finally sanctioned for construction in 1908. In 1902, Sir FJE Spring prepared a detailed project on the bridge. A technical committee appointed in 1908 reported that a bridge could be constructed at Sara crossing the lower Ganges between Paksey and Bheramara stations on the broad gauge railway from Khulna to Parbatipur. The construction of the bridge started in 1910 and finished in 1912. British engineer Sir Robert Gailes worked as the chief engineer of the construction. On the 1st of January 1915, the first trial train crossed the bridge down track and on 25 February of the same year the second trial train crossed the bridge up track. Finally on 4 March 1915 Lord Hardinge inaugurated the bridge. A total of 24,000 people were employed for constructing the bridge.
The Hardinge Bridge is 1.8 km long. There are 16 piers of castion type made of concrete cubes with a portion of above water level made of steel. The bridge comprises 15 steel trusses through spans each of 345 feet 11/2 inches from centre to centre of bearing (308 feet 11/2 inches clear span) with 6 deck type steel girders by approach spans (3 at each end), each of 75 feet centre to centre of bearings (66 feet clear span approximately). The original steel of Hardinge Bridge is of mild steel type equivalent to grade 43 of BS 4360 having yield stress of 20.8 tons/sq inch; ultimate tensile strength of 30.6 tons/sq inch at an elongation of 23%. The original design loading for the girders was Indian Railway broad gauge B of 1903+33% with an impact allowance giving a total live load of 1927 tons on two tracks.
The Harding's Bridge was severely damaged during the Liberation War 1971 .It was on the 13th December,1971 when the Indian Air Force plane bombed on the 4th guarder from the Paksey side. As the Pakistani army was on retreat towards Jessore,their last stronghold, the Harding's bridge was strategically very important.The allied force damaged the bridge. After the liberation the bridge was reopened on 12 October 1972, repaired by the joint venture of Bangladesh Railway and the Eastern India Railway of India. The Japanese Government helped to reconstruct the bridge.
It is the second largest railway bridge in Bangladesh. Another bridge named Lalon Shah Bridge for road transport beside the Harding's Bridge has recently been constructed.

Thursday, October 30, 2014

See that.....!!!

সুপ্তধারা ঝর্ণার কপালের ছোট্ট টিপ, সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক, চট্টগ্রাম...

এই অপরূপা ঝর্ণাটার স্থানীয় কোন নাম নেই, তাই এটাকে সুপ্তধারা ঝর্ণার কপালে একটা ছোট্ট টিপ বলা যেতেই পারে কারণ, এই মনোমুগ্ধকর আর সুন্দর ঝর্ণাটা দেখতে হলে আপনাকে অনেকটা কষ্ট করে সুপ্তধারা ঝর্ণা বেয়ে উঠে যেতে হবে উপরে। আর সেখানেই পাবেন এই রূপসীর দেখা... তবে এটা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, এই ঝর্ণাটাকে দেখে আপনার সেই কষ্ট নিমেষেই পরিণত হবে অপূর্ব প্রশান্তিতে...

Wednesday, October 29, 2014

নীলাচল, টাইগার পাড়া, বান্দরবান...

মূল বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ৬ কিমি দূরে এবং সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ২০০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত এই অপুর্ব সুন্দর জায়গাটি। বিশেষতঃ নীলাচল থেকে সুর্যাস্তের যে অপরূপ দৃশ্য দেখতে পাবেন তা আপনাকে মুগ্ধ করবেই করবে। এখান থেকে পুরো বান্দরবান শহর তো বটেই আকাশ পরিষ্কার থাকলে চট্টগ্রাম বন্দর এমনকি সী-বীচও দেখা যেতে পারে...